বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর সিটিজেন চার্টার
১৯৬১ সনের ১৬ অক্টোবর তারিখে ৩৭নং অধ্যাদেশ বলে ইস্ট পাকিসত্মান এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (ইপিএডিসি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নামে পরিচিত।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনন্থ সংস্থা হিসাবে বিএডিসি কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তিসমূহ কৃষকদের মাঝে সরবরাহকরনে এবং দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্ত অর্জনে অব্যাহত ভূমিকা পালনে সহায়তা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অঙ্গীকার বাসত্মাবায়নে বিএডিসি’র প্রশাসন উইং, অর্থ উইং, বীজ ও উদ্যান উইং, ক্ষুদ্র সেচ উইং এবং সার ব্যবস্থাপনা উইং একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
১. সেবাসমূহ / কার্যাবলীঃ
(বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬১, জাতীয় কৃষি নীতি ১৯৯৯ এবং বিএডিসি পূর্নগঠন ১৯৯৯ অনুসরণে)ঃ
1. বীজনীতি সংক্রামত্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাসত্মবায়নের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান;
2. ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি সম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বাসত্মবায়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
3. সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে সার আমদানী সংক্রামত্ম প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান;
4. সার সংক্রামত্ম নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাসত্মবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ও পরামর্শ সেবা প্রদান;
5. জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণ;
6. রাসায়নিক সার সংগ্রহ, সংরক্ষণপূর্বক তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ;
7. যান্ত্রিত চাষ পদ্ধতি ও সেচ কাজে পাওয়ার পাম্পের ব্যবহার প্রবর্তন;
8. গভীর, অগভীর ও হসত্মচালিত নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান;
9. গবেষনা প্রতিষ্ঠান হতে সংগৃহীত Breeder Seedদ্বারাFoundation Seedউৎপাদন যা পরবর্তীতে রেজিস্টার্ড সীড উৎপাদনপূর্বক কৃষকদের মাঝে বিতরণ;
10.উৎপাদিত বীজ প্রক্রিয়াজাতপূর্বক কৃষকদের নিকট বিতরণ;
11. ফসলের জমিতে সময়মত কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণ ও সরবরাহ;
12.দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি নীতি, কর্মসূচী এবং প্রকল্প সমূহ বাসত্মবায়ন করা;
13.প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে কৃষি উপকরণ (বীজ,সার, সেচ সুবিধা ইত্যাদি) সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং উপকরণ বিতরণ ব্যবস্থা বেসরকারিকরণের ফলে কৃষক পর্যায়ে উদ্ভূত সমস্যাবলী দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করা;
14. কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা;
15.কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিজ্ঞানী কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও বিতরণ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা;
16.কৃষক, ব্যবসায়ী এবং বাণিজ্য সংগঠকদের কৃষি ব্যবসা উদ্যোগকে সহযোগীতা, সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত / ঘোষিত অন্যান্য সেবাসমূহ প্রদান করা;
17.উন্নত বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং সীমিত আকারে বীজ শিল্প উন্নয়নে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান / ব্যক্তিকে সেবা প্রদান;
18.সব্জী, চারা, কলম এবং উদ্যান ফসলের উন্নয়ন ও বাজার সম্প্রসারণ;
19.ক্ষুদ্রসেচ সুবিধা প্রদান, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, সেচ সম্প্রসারণ ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ;
20.পানি সম্পদ জরীপ, পানির গুনাগুন পরীক্ষা-পরিবীক্ষণ ও তথ্য সেবা প্রদান;
21.দানা জাতীয় শস্য, পাট ও অন্যান্য শস্যবীজ উৎপাদন ও উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে সার্বিক সেবা প্রদান;
22. শংকর বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ;
23. আলুসহ উদ্যান ফসলের বীজ / চারা উৎপাদনের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতে বাণিজ্যিক উৎপাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সেবা প্রদান;
24.উদ্যান ফসলের অভ্যমত্মরীণ/ রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণের ভৌত সুবিধা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং এতদসংক্রামত্ম সহায়ক সেবা প্রদান;
25. ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি সম্পদ উন্নয়ন এবং সরেজমিন দক্ষ সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা (On Farm Water Management) কর্মসূচী বাসত্মবায়ন;
26. সেচ এলাকা বৃদ্ধির জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প মূল্যায়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদান; এবং
27.সমন্বিত ও আঞ্চলিক কৃষি উন্নয়নে সেচ ব্যবস্থাপনা বাসত্মবায়ন এবং সেচ ব্যবস্থাপনায় জরুরী সেবা প্রদান।
বিএডিসি’র বীজ বিক্রয় সংক্রান্ত সেবা প্রদান ও গ্রহণের নিয়মাবলী সংক্রান্ত বিবরণীঃ -
বীজ ডিলার নিয়োগের শর্তাবলী
১। বীজ ডিলার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ ২০০/- টাকার বিনিময়ে/উপজেলা/জেলা বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন এবং ক্যাশ রিসিপ্টসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন। আবেদনপত্র উপজেলা অফিসের মাধ্যমে উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) বরাবরে দাখিল করতে হবে।
২। (ক) প্রাথমিকভাবে প্রতি অর্থ বছরের জন্য (জুলাই-জুন) ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা লাইসেন্স ফি’র বিনিময়ে ডিলার নিয়োগ করা হবে এবং প্রতি বৎসর জুলাই/আগষ্ট মাসে ৩০০/- (তিনশত) টাকার বিনিময়ে বীজ ডিলার লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
(খ) বীজ ডিলারগণকে নিয়ন্ত্রিত ফসলের বীজ (ধান, গম, আলু, পাট ও আখ) ছাড়াও ডাল, তৈল, সব্জী এবং ভূট্টা জাতীয় বীজসহ প্রতি বৎসর সর্বমোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার বীজ উত্তোলন করতে হবে
৩। বিক্রয় কেন্দ্রে ডিলার তার নিয়োগপত্র/লাইসেন্স প্রদর্শন করে রাখবেন।
৪। বিএডিসি কর্তৃক বিভিন্ন বীজের জন্য নির্ধারিত কমিশন অনুযায়ী ডিলার কমিশন পাবেন।
৫। ডিলার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারের মাধ্যমে বীজের মূল্য পরিশোধ করে বিএডিসি’র গুদাম হতে বীজ ডেলিভারী নিতে পারবেন। যে ব্যাংকে আঞ্চলিক গুদামের ‘‘বীজ প্রাপ্তি হিসাব’’ খোলা রয়েছে সেই ব্যাংকের ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারের মাধ্যমে বীজের মূল্য পরিশোধ করে বিএডিসি’র গুদাম হতে বীজ সরবরাহ নিতে হবে। উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) এর অনুমতিক্রমে অন্য স্থানীয় তফসীলি ব্যাংকের পে-অর্ডার / ব্যাংক ড্রাফট গ্রহনযোগ্য হবে। পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট প্রাপ্তির ৩ (তিন) দিনের মধ্যে মজুদ স্বাপেক্ষে বীজ সরবরাহ করা হবে।
৬। ডিলারের দোকানে সাইনবোর্ড থাকতে হবে এবং ক্যাশমেমো ইস্যু করে বীজ বিক্রয় করতে হবে।
৭। বীজ ডিলারগণ বীজ বিক্রয় মৌসুমে তাদের দোকানে লালসালু, ব্যানার টাঙ্গিয়ে বীজ বিক্রয় করবেন। ব্যানারে বীজের প্রাপ্যতা, বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি প্রদর্শিত থাকবে।
৮। বীজ ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে বীজ সংরক্ষণ উপযোগী একটি ভাল গুদাম থাকতে হবে ডিলার তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিএডিসি’র আঞ্চলিক বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে তার নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রে বীজ নিয়ে যাবেন।
৯। ডিলার কর্তৃক বীজ ডেলিভারী নেয়ার সময় বস্তা ও বীজের গুনগতমান পরিক্ষা করে দেখবেন এবং বিক্রয় কেন্দ্র হতে বীজ সরবরাহ নেয়ার সময় কোন ক্রুটি পরিলক্ষিত হলে ডিলারকে সঙ্গে সঙ্গে সে বীজ পরিবর্তন করে দেয়া হবে।
১০। কোন অবস্থাতেই বিক্রিত বীজ ফেরৎ নেয়া হবে না।
১১। (ক) ডিলার তার বিক্রয় কেন্দ্রের বীজ যথাযথভাবে মজুদ ও পরিচর্যা করবেন যাতে করে বীজের গুনগতমান অক্ষুন্ন থাকে এবং বীজের মান সংরক্ষণের জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। পূর্ববর্তী মৌসুমের অবিক্রিত নিম্নমানের বীজ বিক্রয় করা যাবে না এবং মৌসুমের পরেও কোন বীজ বিক্রয়যোগ্য হবে না।
(খ) বীজ বিক্রয় কেন্দ্র হতে বীজ সরবরাহ নেয়ার পর বীজের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখার দায়িত্ব ডিলারের উপর থাকবে। দোকানে বীজ মজুদকালীন সময়ে অবহেলার জন্য বীজের গুনগতমানের কোনরুপ ক্ষতি হলে সেজন্য বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
১২। বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত অরিজিনাল প্যাকেট/বস্তার ডিলার বীজ বিক্রয় করবেন এবং কোন অবস্থায় বীজের প্যাকিং, মার্কিং নষ্ট বা পরিবর্তন অথবা পূর্বে ব্যবহৃত প্যাকেট/বস্তায় বীজ বিক্রয় করতে পারবেন না।
১৩। ডিলার দ্রুততার সঙ্গে বিএডিসি হতে সরবরাহকৃত বীজ বিতরনের ব্যবস্থা করবেন।
১৪। বিএডিসি, বীজ অনুমোদন সংস্থার কর্মকর্তাগণ যে কোন সময় ডিলারের গুদাম এবং বিক্রয় কেন্দ্রে বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজ পরিদর্শন করতে পারবেন।
১৫। ডিলার বিএডিসি’র বীজ কর্মকর্তাকে গুদামজাত বীজ এবং ডিলার নিয়োগপত্র/লাইসেন্স দেখাতে বাধ্য থাকবেন।
১৬। বিএডিসি, সরবরাহ কেন্দ্র হতে নির্ধারিত গুনগত মান সম্পন্ন বীজ ডিলারের নিকট সরবরাহের জন্য দায়ী থাকবেন।
১৭। বিএডিসি হতে সরবরাহকৃত বীজের গুনগতমান সম্পর্কে চাষীদের জানানোর জন্য ডিলার প্রয়োজনীয় প্রচারনার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
১৮। বিএডিসি’র বীজ সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে পর্যাপ্ত প্রচারনার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজ সংক্রান্ত পোস্টার, পুস্তিকা ইত্যাদি বিতরণ এবং প্রদর্শণী প্লট স্থাপন তৈরি/আয়োজন করার জন্য ডিলার সকল প্রকার সহায়তা করার জন্য দায়ী থাকবেন।
১৯। ডিলার বীজের কালোবাজারী ও ভেজাল মিশ্রণ সংক্রান্ত কোন রকম কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। কোন ডিলার এতদসংক্রান্ত কাজে জড়িত থাকলে তার লাইসেন্স বাতিলসহ প্রচলিত আইন ও বীজ নীতি (সীড অ্যাক্ট) অনুযায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০। ডিলার তার এলাকায় বীজ বিক্রির জন্য বীজের অগ্রিম চাহিদা এক বৎসর পূর্বে উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) কে অবহিত করবেন। অন্যথায় মৌসুমে পরিমানমত বীজ সরবরাহ করতে না পারলে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ডিলার নিয়োগের জন্য বর্ণিত শর্তাবলী ডিলার লঙ্ঘন করলে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ডিলারের নিয়োগপত্র বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে। এ সম্পর্কে বিএডিসি একক সিদ্ধান্ত গ্রহনের অধিকার থাকবে। ডিলারের নিয়োগপত্র বাতিল করার ফলে ডিলার যদি কোন রকম আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার জন্য বিএডিসি দায়ী থাকবে না।
২১। বীজ ডিলারের দোকানে অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের খারাপ মানের বীজ এবং সরকারের অনুমোদন বিহীন কোন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের বীজ মজুদ/বিক্রয় করা যাবে না। অনুমোদিত অন্য কোন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্যাকিংকৃত বীজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের প্যাকিং অথোরিটি, ব্যবসার বৈধতা সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করার জন্য ডিলারগণ বাধ্য থাকবেন।
২২। ডিলার কর্তৃক পরিচালিত কর্মকান্ডে বিএডিসি’র বীজের বাজার সৃষ্টি এবং এর বিপণন ও সংরক্ষণ এবং বিএডিসি’র সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় কোনরূপ আশংকা দেখা দিলে এবং উপরে বর্ণিত যে কোন শর্তাবলী লঙ্ঘন করলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
২৩। বিএডিসি কর্তৃক বীজের বিক্রয় মূল্য হ্রাস করা হলে মূল্য হ্রাসের পূর্ববর্তী তারিখে যে সব বীজ ডিলার বীজ ক্রয় করেছেন তাদেরকে কোন প্রকার আর্থিক ক্ষয় ক্ষতিজনিত অর্থ ফেরৎ প্রদানে বিএডিসি বাধ্য থাকবেন না।
বীজ ডিলারশীপ নিয়োগ নীতিমালা
১। বীজ ডিলারশীপের জন্য আবেদনকারী কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে এবং কৃষি উপকরণ বিশেষ করে বীজ ব্যবসায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২। (ক) যে কোন ব্যক্তি অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/ব্যবসায়িক সংগঠন যদি ডিলারশীপ প্রদান করা যাবে।
(খ) অংশীদায়িত্বভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠান/ব্যবসায়িক সংগঠন যদি ডিলারশীপের জন্য আবেদন করে তবে ঐ সংগঠনের/প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কমিটি বা ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে যার নামে ডিলারশীপ দেয়া হবে তাকে ব্যবসা পরিচালনা সর্বময় ক্ষমতা (Power of attorney) দিতে হবে।
৩। (ক) কোন সরকারী/আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান/বেসরকারী সংস্থার/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার প্রকল্পকে ডিলারশীপ প্রদান করা হবে না।
(খ) কৃষি উন্নয়নে নিয়োজিত কোন এনজিওর ট্রেড লাইসেন্স থাকলে বীজ ডিলারশীপের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।
৪। ডিলারশীপ লাইসেন্সের জন্য নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
(ক) তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অথবা বিএডিসি অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত)
(খ) ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি।
(গ) ব্যাংক স্বচ্ছলতার সার্টিফিকেট।
(ঘ) বর্ণিত সমিতির সনদপত্র (যদি থাকে)
(ঙ) দোকানের/গুদামের মালিকানা অথবা ভাড়ার স্বপক্ষে কাগজপত্রাদি।
৫।(ক) প্রাথমিকভাবে প্রতি অর্থ বছরের জন্য (জুলাই-জুন) ডিলার নিয়োগ করা হবে (লাইসেন্স ফি- ১,০০০/-) এবং প্রতি বৎসর জুলাই/আগস্ট মাসে ৩০০/- (তিনশত) টাকা নবায়ন ফি- এর বিনিময়ে বীজ ডিলার লাইসেন্স নাবায়ন করা হবে।
(খ) বীজ ডিলারগণকে নিয়ন্ত্রিত ফসলের বীজ (ধান, গম, আলু ও আখ) ছাড়াও ডাল, তৈল, সব্জী এবং ভূট্টা জাতীয় বীজসহ প্রতি বৎসর সর্বমোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার বীজ উত্তোলন করতে হবে।
(গ) লাইসেন্স এর জন্য প্রাপ্ত আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
ধান, গম, আলু ও পাট বীজের বীজ ডিলার কমিশন সংক্রান্ত সেবা
ডিলার কমিশন হার নিম্নরুপঃ-
বীজের নাম | দূরত্ব | উত্তোলনের পরিমান | বর্তমান কমিশন হার |
ধান | ক) ০-১০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত | ০.৫-২.০ টন পর্যন্ত ২.০ টনের উর্দ্ধে | ৬% (ছয়) ১০% (দশ) |
খ) ১০ কিঃ মিঃ এর উর্দ্ধে | ০.৫-২.০ টন পর্যন্ত ২.০ টনের উর্দ্ধে | ৯% (নয়) ১৩% (তের) | |
গম | খ) ০.১০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত | ২-৫ টন পর্যন্ত ৫ টনের উর্দ্ধে | ৬% (ছয়) ১০% (দশ) |
খ) ১০ কিঃ মিঃ এর উর্দ্ধে | ২-৫ টন পর্যন্ত ৫ টনের উর্দ্ধে | ৯% (নয়) ১৩% (তের) | |
আলু | ক) হিমাগার হতে | ৫ টনের উর্দ্ধে | ৭% (সাত) |
খ) আঞ্চলিক গুদাম হতে | ৫ টনে উর্দ্ধে | ৪% (চার) | |
পাট | ক) দেশি | নূন্যতম ৭৫-১৫০ কেজি ১৫০ কেজি উর্দ্ধে | ১০% (দশ) ১৩% (তের) |
খ) তোষা | নূন্যতম ৬২-১২৪ কেজি ১২৪ কেজি উর্দ্ধে | ১০% (দশ) ১৩% (তের) | |
ভূট্টা, তৈল ও ডাল জাতীয় বীজ | ৫০ কেজি হতে ১ কুইঃ ১ কুইঃ উর্দ্ধে | ৪% (চার) ৭% (সাত) | |
শীতকালীন/গ্রীষ্মকালীন সব্জী বীজ | ২০০০ টাকার উর্দ্ধে | ১০% (দশ) |
ক) উপরে উল্লেখিত ডিলার কমিশনের হার পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
খ) অঞ্চলে (বৃহত্তম জেলা সমূহে) অবস্থিত ‘‘০’’ শূন্য কিঃ মিঃ পোস্ট হতে দূরত্ব বিবেচনা।